যদি বাড়াতে চান চুলের গোছা
বয়স যত বাড়ছে, তত কমছে চুল। আর এই চিন্তায় চিন্তায় উঠে যাচ্ছে আরও চুল। মুশকিল আসান করতে নিজের চুল ঘন করার সিক্রেট শেয়ার করছি আমরা। তাতে কোমর অবধি চুল না হয়, নাই থাকল। কিন্তু মাথায় তো ক’টা চুল থাকবে, যাতে টাক না দেখা যায়। চুল ওঠা নিয়ে নিয়ে সারাদিন বসে-বসে দুঃখ করেও লাভ নেই। তার চেয়ে চলুন দেখি কিভাবে আমরা আমাদের চুল পড়া রোধ করতে পারি।
যদি বাড়াতে চান চুলের গোছা
শ্যাম্পুর পরে লেবুর রস
এটা কিন্তু করতেই হবে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুল ভাল করে শ্যাম্পু করার পর লেবুর রস দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল ভাল করে শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে একটা পুরো পাতিলেবুর রস বের করে পুরো চুলে ভাল করে লাগাবে। পাতিলেবুর রস চুলকে খুব ফুরফুরে করে দেয়। চুলগুলো একে অপরের উপর লেপটে পড়ে থাকে না। ফলে পরিমাণে চুল একটু বেশি দেখায়।
ঘন চুলের প্যাক
সপ্তাহে অন্তত একবার একটা ডিম আর দই দিয়ে প্যাক বানিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। এর আধঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করতে হবে। এতে চুলের ভলিউমও বাড়বে, চুলের পুষ্টিও জোগাবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা গাছের জেলও চুলের গোড়ায় লাগানো যেতে পারে। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের গ্রোথ বাড়ায়।
পেঁয়াজ
ছাঁচি পেঁয়াজ, অর্থাৎ একদম ছোট-ছোট লাল পেঁয়াজ নাও দুটো। এবার পেঁয়াজ দুটো থেঁতো করে তার রস লাগাতে হবে চুলের গোড়ায়। পেঁয়াজের রসে কিন্তু মাথায় নতুন চুল গজায়। ফলে এমনিই চুলের গোছ বাড়ে।
পাকা কলা
পাকা কলা চটকে দই আর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগানো যেতে পারে। এতে রুক্ষ চুল হয় মসৃণ।
হেয়ারকাট
শুধু শ্যাম্পু করেও যদি মন না ভরে, তা হলে হেয়ারকাট তো আছেই। চুলের কাট পালটালেও কিন্তু চুলের ভলিউম বেড়ে যায়। এমনিতেই ছয় সপ্তাহ বাদে-বাদে হেয়ার ট্রিম করানো উচিত। তা হলে চুল এমনিতেই ভাল থাকে। তাছাড়া চুল কাটলে এমনিতেই খানিকটা ভলিউম অ্যাড হয়ে যায়। সেখানে যদি অনেকগুলো লেয়ারে ভাগ করে চুল কাটা যায়, তা হলে চুলের গোছ বেশি মনে হবে। তবে লেয়ারে মুখের চারপাশ ঘিরে অনেকটা চুল থাকে, মুখটা দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু চুলের নীচটা খুব সরু হয়ে আসে। চুলের এন্ডটা সরু থাকাটা যদি পছন্দ না হয়, সেক্ষেত্রে ব্লান্ট বা বব (স্মল অর লং) কেটে নিতে পারো। এই কাটে চুলের ভলিউম অবশ্যই বাড়বে।
Comments
Post a Comment