শীতে চুল পড়া কমিয়ে নিয়ে আসুন মাত্র ৩ দিনে

মানুষ এর সৌন্দর্যের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ হচ্ছে চুল।কিন্তু আমাদের এই প্রিয় চুলগুলো যখন পড়তে শুরু করে তখন আমাদের কষ্টের আর শেষ থাকে না। তবে চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাধারণভাবেই প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল ঝরে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন একশ’টা চুল পড়া স্বাভাবিক।তবে চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় তাহলে তা শঙ্কার কথা। কাজেই চুল বেশি পড়লে বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় চুল পড়ে। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরণের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও সাধারণত চুল পড়ে। চুল পড়া বন্ধে বিউটি পার্লারে চিকিৎসা নেয়ার চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার বেশি কার্যকর। কেননা পার্লারে নেয়া চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা চুল পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নিচে দেয়া সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া রোধ করা যায়।

চুল পড়া রোধের উপায়

    • প্রতিদিন চুল পরিস্কার করা ভাল নয়: দুই বা তিন দিন পর পর একবার চুল পরিস্কার ভালো। কারণ প্রতিদিন চুল পরিস্কার করলে আপনার মাথার খুলি বেশি শুকনো হয়ে যায়, যা চুলকে ক্ষতি করে। তাই প্রতি দুই বা তিন দিন পর একবার চুল পরিস্কার করলে ভালো হয়। প্রথমে শ্যাম্পু বাবল করে নিন বা ফেনা তৈরী করে নিন, তারপর চুলে মাখান। কিছু সময় এভাবে রাখুন এবং এরপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুলে তৈলাক্ততার পরিমান বেশি হয়, তাহলে একদিন বা দু’দিন পর পর চুল পরিস্কার করতে পারেন।

  • ঘণ চিরুনি দিয়ে ভিজা চুল মসৃণ করা বা আচঁড়ানো উচিত নয়: এ সময় চুলের গোড়া খুব দুর্বল থাকে। সেজন্য চুল পরিস্কারের পর ভাল ভাবে না শুকানো পর্যন্ত চুল আচঁড়ানো বা চুল শুকাতে কাপড় দিয়ে দ্রুত ও জোরে জোরে ঘর্ষণ করবেন না, এটা আপনার চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। পরিস্কার শুকনো কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল বেঁধে রাখুন, কিছুক্ষণ পর খোলা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনার চুল পড়ার পরিমানা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
  • হালকা গরম তেল ব্যবহার: যে কোন প্রাকৃতিক তেল যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) হালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে মেসেজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। কিন্তু হেয়ার ড্রায়ার চুলের ভীষণ ক্ষতি করে। চুল বাঁধার অভ্যাস কমিয়ে আনুন। কেননা বেঁধে রাখা চুলের পড়ের যাবার সম্ভাবনা বেশি।
  • অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না :  চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন। রাত্রে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালু মেসেজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

Comments